বিষ্ণুপুর পৌরসভার বিরুদ্ধে টেন্ডার নিয়ে ব‍্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন সাংসদ

12th August 2020 10:13 pm বাঁকুড়া
বিষ্ণুপুর পৌরসভার বিরুদ্ধে টেন্ডার নিয়ে ব‍্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন সাংসদ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   টেন্ডার নিয়ে এবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভার বিরুদ্ধে বড়সড় দূর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সাংসদের দাবি পুরসভা এলাকায় পরিকাঠামো গত ৫৪ টি কাজের জন্য প্রায় দশ কোটি টাকার একাধিকবার টেন্ডার করে টাকা নয়ছয় করার চেষ্টা করছে বিষ্ণুপুর পুরসভা। পুরসভার তরফে অভিযোগ সম্পূর্ন উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।  অভিযোগ খতিয়ে দেখার আস্বাস দিয়েছে বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন। 

বিষ্ণুপুর পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে  রাস্তা সংস্কার, নিকাশি  নালা নির্মান সহ মোট ৫৪ টি কাজের জন্য গত ২২ জুলাই টেন্ডার ডাকে বিষ্ণুপুর পুরসভা।  সবগুলি কাজ মিলিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমান প্রায় দশ কোটি টাকা। বিজেপির দাবি টেন্ডারে যে কাজগুলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে  বছর দুই আগে সেই কাজগুলি হয়ে গেছে। সে সময় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের টাকা মিটিয়েও দেওয়া হয়।  এরপর চলতি বছর এপ্রিল মাসে সেই কাজগুলিরই টেন্ডার করে পুনরায় টাকা তছরুপের চেষ্টা করে পুরসভা। সেসময় মহকুমা শাসকের হস্তক্ষেপে টেন্ডার প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।  মাস তিন পর পুনরায় সেই একই কাজের জন্য টেন্ডার ডাকে পুরসভা। বিজেপি সাংসদের দাবি শহরের উন্নয়নের জন্য নয় শুধুমাত্র সরকারি টাকা তছরুপের উদ্যেশ্যেই এই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রশাসক পুরসভার বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আস্বাস দিয়েছেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।